পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৫ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন।ছবি
বাংলাদেশে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সীমান্ত অবরোধের ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ‘জেগে ওঠার’ আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার ধর্মতলার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে ৫০টি সনাতনী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং কারাবন্দী ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিকার করতে এগিয়ে আসছে না।” তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে রাজ্যজুড়ে পালন করা হবে। এ উপলক্ষে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন স্মরণে কলকাতার শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত মিছিল বের করা হবে। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবরোধ করবে।
ঝাড়খন্ডে বিক্ষোভ: হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রাজ্যের ধানবাদ ও গুমলা শহরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন।
বিক্ষোভে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি করা হয়, একই সঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ধানবাদের বিক্ষোভের আয়োজন করে হিন্দু রাষ্ট্রীয় সমন্বয় সমিতি (এইচআরএসএস)। বিক্ষোভে অংশ নেন ধানবাদের ইসকন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), বজরঙ্গ দল ও অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা। তারা বাংলাদেশ সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ধানবাদের আইনপ্রণেতা রাজ সিনহা বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার বিষয়টি যাচাই করে দেখতে এবং মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার যেন হস্তক্ষেপ করে—আমি সে আহ্বান জানাচ্ছি।”
গুমলা শহরে ‘স্বর্ণ সনাতন ধর্ম’ ব্যানারে বিক্ষোভ হয়, যেখানে গুমলা ডেপুটি কমিশনারের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়। বিক্ষোভকারীরা “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দেওয়ার” আহ্বান জানান।
0 Comments